কালীপূজায় ভূত দর্শন - ভুতের গল্প, ভৌতিক গল্প
প্রথম পর্ব
অর্ঘ্য, তমাল আর সুমিত তিন বন্ধু বহরমপুরে একটি মেসে থাকে। পরীক্ষার পর অর্ঘ্য বাড়ি চলে গেছে। সুমিত আর তমাল মেসে অলস সময় কাটাচ্ছে।
তমাল জিজ্ঞেস করল, "তুই বাড়ি যাবি কবে?"
"এবার বাড়ি যাব না। ভাবছি কোথাও বেড়াতে যাব। কিন্তু কোথায় যাব সেটা এখনও ঠিক করিনি।", বলল সুমিত।
তমাল বলল, "তা বেশ তো। চল অর্ঘর বাড়ি। দুদিন পরেই ওর বাড়িতে কালীপুজো হবে। ওর মুখে শুনেছি যে খুব ধুমধাম করে পুজো হয়।"
সুমিত বললো, "ঠিক বলেছিস। কিন্তু এখন ওকে বলার দরকার নেই। ওখানে গিয়ে ওকে একেবারে চমকে দেবো।"
অর্ঘর বাড়ি সালার স্টেশন এর কাছে একটি গ্ৰামে। বহরমপুর থেকে সালার যেতে ট্রেনে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা মত।
পরদিন ওরা সময়মতো বহরমপুরের খাগড়াঘাট স্টেশনে পৌঁছে গেল। টিকিট কেটে ট্রেনে চেপে শুরু হলো তাদের যাত্রা।
ট্রেনের মধ্যে একটি জ্যোতিষী গোছের লোক টাকার বিনিময়ে সবার হাত দেখছিল। তমালের আবার জ্যোতিষ বিদ্যার উপর খুব বিশ্বাস। তাই তমাল লোকটিকে হাত নাড়িয়ে তাদের কাছে ডাকলো এবং বলল তার হাত দেখার জন্য। লোকটি তার থলি থেকে একটি আতশ কাচ বার করে তমালের হাত দেখতে শুরু করলো।
জ্যোতিষী তমালের হাত দেখে বলল, "তোমার যাত্রা খুব একটা শুভ হবে বলে মনে হচ্ছে না।"
তমাল একটু ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করল, "কেন কিছু অশুভ দেখলেন নাকি?"
"না অশুভ কিছু নয়। যাত্রা সফল হবে। কিন্ত তোমার হাতের রেখায় ভয়ের যোগ দেখছি। যেখানে যাচ্ছো সেখানে খুব বড় ভয় পাবে।..."
জ্যোতিষী আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু সুমিত তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, "বাদ দিন তো আপনার এইসব গাঁজাখুরি গল্প। মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা আদায় করায় আপনাদের কাজ। আপনাদের মত লোককে আমার হারে হারে চেনা আছে।"
"টাকা আমাকে দিতে হবে না। আর আমার গণনা আজ পর্যন্ত কোনদিন ভুল হয়নি।" এই বলে লোকটি সেখান থেকে চলে গেল।
তমাল বলল, "লোকটাকে তাড়িয়ে দিলি? ওকে তো জিজ্ঞেস করায় হল না ভয়ের কারন টা কি হবে?"
"ওসব বাদ দে তো। এদেরকে আমার হারে হারে চেনা আছে। ট্রেন সালার স্টেশন ডুকছে। ব্যাগ গুলো নিয়ে তৈরি থাক। এবার আমাদের নামতে হবে।" সুমিত একটু তাচ্ছিল্যের সুরে বলল ।
সুমিতের কথায় তমাল যেন একটু দমে গেল। কারণ সে ভালো করে জানে সুমিত এই সমস্ত অতিপ্রাকৃতিক বিস্ময়ের ঘোর বিরোধী। আর এই বিষয় নিয়ে ওর সঙ্গে তর্ক করার কোনো মানে হয় না।
ট্রেন থেকে নেমে দুই বন্ধু অর্ঘর বাড়ি উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করলো। কিছুদূর তারা একটি প্রকাণ্ড বটগাছ দেখতে পেল। তমালের মনে হল এরকম শুনশান জায়গায় একটা প্রকাণ্ড গাছ থাকা মানে এখানে নিশ্চয় এখানে ভূত আছে। তাছাড়া তারা আমাবস্যার আগের রাতে এই গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। এখন যে দু একটা ভূত নেমে এসেছে তাদের ঘাড় মটকে দেবে না কে বলতে পারে।
তাই সে সুমিতকে তারা দিয়ে বলল, "ভাই তাড়াতাড়ি চল। এই জায়গাটা আমার খুব একটা ভালো লাগছে না। কেমন যেন ভুতুড়ে ভুতুড়ে মনে হচ্ছে।"
"দিনে রাতে সবসময় ভূতের স্বপ্ন দেখিস কেন বলতো। ওরা কি তোর আত্মীয় হয় যে যখনি ভাববি তখনি চলে আসবে। তাছাড়া এখন সন্ধ্যে সাতটা। এখন ওরা বাইরে বেরোই না। অত চিন্তার কিছু নেই।" তমালকে আশ্বস্ত করে বলল সুমিত।
এরপর তমাল বলল,"তবুও ভাই, ওদের কথা মনে পড়লে আমার গাটা শিরশির করে ওঠে। তাছাড়া জ্যোতিষ ও তো বললো যে ওর গণনা কোনদিনও মিথ্যা হয় না।"
এমন সময় সুমিত তমালকে বটগাছের একটি ডালের দিকে দেখিয়ে বলল ওই দেখ ভূত। তমাল সেদিকে তাকিয়ে দেখলো যে গাছের ডালে দুটো আলো জ্বলজ্বল করছে। আর এটা দেখে তমাল সেইখানেই ঠকঠক করে কাঁপতে লাগলো। তমালের এর এই অবস্থা দেখে সুমিত হাসতে হাসতে বলল, "ওটা ভূত না রে বোকা। ওগুলো একটা পেঁচার চোখ। পেঁচা নিশাচর প্রাণী। নিশাচর প্রাণী দের চোখে রড কোষ বেশি থাকে এবং তাদের চোখে অল্প আলো পড়লেই চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে। আর যেটা দেখে তোর মত ভীতুর ডিমরা ভয় পেয়ে যায়।", "এবার হাটা শুরু কর। প্রায় পৌঁছে গেছি। বেশি দেরি হলে আবার কাকিমা বকাবকি করবেন।"
দ্বিতীয় পর্ব আসছে।
গল্পটি একটু বড় হবে। সবাইকে অনুরোধ একটু ধৈর্য রাখুন। আর প্রথম পর্ব কেমন লাগল কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।
এটা আমার প্রথম লেখা। তাই কোন ভুল হলে অবশ্যই জানাবেন।
সুমিত বললো, "ঠিক বলেছিস। কিন্তু এখন ওকে বলার দরকার নেই। ওখানে গিয়ে ওকে একেবারে চমকে দেবো।"
অর্ঘর বাড়ি সালার স্টেশন এর কাছে একটি গ্ৰামে। বহরমপুর থেকে সালার যেতে ট্রেনে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা মত।
পরদিন ওরা সময়মতো বহরমপুরের খাগড়াঘাট স্টেশনে পৌঁছে গেল। টিকিট কেটে ট্রেনে চেপে শুরু হলো তাদের যাত্রা।
ট্রেনের মধ্যে একটি জ্যোতিষী গোছের লোক টাকার বিনিময়ে সবার হাত দেখছিল। তমালের আবার জ্যোতিষ বিদ্যার উপর খুব বিশ্বাস। তাই তমাল লোকটিকে হাত নাড়িয়ে তাদের কাছে ডাকলো এবং বলল তার হাত দেখার জন্য। লোকটি তার থলি থেকে একটি আতশ কাচ বার করে তমালের হাত দেখতে শুরু করলো।
জ্যোতিষী তমালের হাত দেখে বলল, "তোমার যাত্রা খুব একটা শুভ হবে বলে মনে হচ্ছে না।"
তমাল একটু ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করল, "কেন কিছু অশুভ দেখলেন নাকি?"
"না অশুভ কিছু নয়। যাত্রা সফল হবে। কিন্ত তোমার হাতের রেখায় ভয়ের যোগ দেখছি। যেখানে যাচ্ছো সেখানে খুব বড় ভয় পাবে।..."
জ্যোতিষী আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু সুমিত তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, "বাদ দিন তো আপনার এইসব গাঁজাখুরি গল্প। মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা আদায় করায় আপনাদের কাজ। আপনাদের মত লোককে আমার হারে হারে চেনা আছে।"
"টাকা আমাকে দিতে হবে না। আর আমার গণনা আজ পর্যন্ত কোনদিন ভুল হয়নি।" এই বলে লোকটি সেখান থেকে চলে গেল।
তমাল বলল, "লোকটাকে তাড়িয়ে দিলি? ওকে তো জিজ্ঞেস করায় হল না ভয়ের কারন টা কি হবে?"
"ওসব বাদ দে তো। এদেরকে আমার হারে হারে চেনা আছে। ট্রেন সালার স্টেশন ডুকছে। ব্যাগ গুলো নিয়ে তৈরি থাক। এবার আমাদের নামতে হবে।" সুমিত একটু তাচ্ছিল্যের সুরে বলল ।
সুমিতের কথায় তমাল যেন একটু দমে গেল। কারণ সে ভালো করে জানে সুমিত এই সমস্ত অতিপ্রাকৃতিক বিস্ময়ের ঘোর বিরোধী। আর এই বিষয় নিয়ে ওর সঙ্গে তর্ক করার কোনো মানে হয় না।
ট্রেন থেকে নেমে দুই বন্ধু অর্ঘর বাড়ি উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করলো। কিছুদূর তারা একটি প্রকাণ্ড বটগাছ দেখতে পেল। তমালের মনে হল এরকম শুনশান জায়গায় একটা প্রকাণ্ড গাছ থাকা মানে এখানে নিশ্চয় এখানে ভূত আছে। তাছাড়া তারা আমাবস্যার আগের রাতে এই গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। এখন যে দু একটা ভূত নেমে এসেছে তাদের ঘাড় মটকে দেবে না কে বলতে পারে।
তাই সে সুমিতকে তারা দিয়ে বলল, "ভাই তাড়াতাড়ি চল। এই জায়গাটা আমার খুব একটা ভালো লাগছে না। কেমন যেন ভুতুড়ে ভুতুড়ে মনে হচ্ছে।"
"দিনে রাতে সবসময় ভূতের স্বপ্ন দেখিস কেন বলতো। ওরা কি তোর আত্মীয় হয় যে যখনি ভাববি তখনি চলে আসবে। তাছাড়া এখন সন্ধ্যে সাতটা। এখন ওরা বাইরে বেরোই না। অত চিন্তার কিছু নেই।" তমালকে আশ্বস্ত করে বলল সুমিত।
এরপর তমাল বলল,"তবুও ভাই, ওদের কথা মনে পড়লে আমার গাটা শিরশির করে ওঠে। তাছাড়া জ্যোতিষ ও তো বললো যে ওর গণনা কোনদিনও মিথ্যা হয় না।"
এমন সময় সুমিত তমালকে বটগাছের একটি ডালের দিকে দেখিয়ে বলল ওই দেখ ভূত। তমাল সেদিকে তাকিয়ে দেখলো যে গাছের ডালে দুটো আলো জ্বলজ্বল করছে। আর এটা দেখে তমাল সেইখানেই ঠকঠক করে কাঁপতে লাগলো। তমালের এর এই অবস্থা দেখে সুমিত হাসতে হাসতে বলল, "ওটা ভূত না রে বোকা। ওগুলো একটা পেঁচার চোখ। পেঁচা নিশাচর প্রাণী। নিশাচর প্রাণী দের চোখে রড কোষ বেশি থাকে এবং তাদের চোখে অল্প আলো পড়লেই চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে। আর যেটা দেখে তোর মত ভীতুর ডিমরা ভয় পেয়ে যায়।", "এবার হাটা শুরু কর। প্রায় পৌঁছে গেছি। বেশি দেরি হলে আবার কাকিমা বকাবকি করবেন।"
দ্বিতীয় পর্ব আসছে।
গল্পটি একটু বড় হবে। সবাইকে অনুরোধ একটু ধৈর্য রাখুন। আর প্রথম পর্ব কেমন লাগল কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।
এটা আমার প্রথম লেখা। তাই কোন ভুল হলে অবশ্যই জানাবেন।
ভূতের কাহিনী
ReplyDelete